আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আর মাত্র ৬ দিন পর ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনের প্রচারে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০ হাজার মানুষের সমাবেশে বক্তব্য দেন কমলা হ্যারিস এবং ‘ব্যাটল গ্রাউন্ড’ খ্যাত গুরুত্বপূর্ণ পেনসিলভেনিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এসময় ভয় আর বিভাজনের দেওয়াল’ গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় জানান হ্যারিস। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদী মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। এদিকে পেনসিলভেনিয়ার প্রচারনায় কমলা হ্যারিসকে ফ্যাসিস্ট বলে আখ্যা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি সমালোচকদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।
যদিও জনমত জরিপে বিরোধী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস। এবিসি নিউজের এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৮ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন কামালা, মাত্র ১ শতাংশ কম সমর্থন নিয়ে পিছিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৮টির নিয়ম হলো যে প্রার্থী এসব অঙ্গরাজ্য থেকে সাধারণ নাগরিকদের ভোটে জয়লাভ করবেন তিনি সেই রাজ্যের সবগুলো ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে জয়ী হতে হলে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি ভোট পেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এতে কে জয়ী হবেন তা নির্ভর করছে দেশটির সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ওপর। আর এক্ষেত্রে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বা সুইং স্টেটগুলো বড় ভূমিকা রাখে। ৭টি সুইং স্টেটের মধ্যে দুই প্রার্থীর ব্যবধানও খুব সামান্য। তাই শেষ মুহূর্তে ফলাফল কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।
+ There are no comments
Add yours